শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে পাহারা বসানো হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে তিন পুলিশ সদস্য বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের পাহারায় যুক্ত করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, বরিশালে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও নজরদারি বাড়ানোসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশ মোতাবেক নগরীতে অবস্থিত একমাত্র ভাস্কর্যটির নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পালাক্রমে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা ভাস্কর্যের কাছে পুলিশ অবস্থান করবে বলে জানান ওসি।
স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর ২০১৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর বরিশাল বিভাগে প্রথম বঙ্গবন্ধুর বিশাল ভাস্কর্য স্থাপিত হয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে। নগরীর সাংবাদিক মাইনুল হাসান সড়কে (আগরপুর রোড) শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সামনে প্রায় ১০ ফুট উঁচু বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য। ৭ মার্চের ভাষনের আদলে নির্মিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য। পাথর আর সিমেন্টের তৈরী ধবধবে সাদা ভাস্কার্যটি সকলেরই দৃষ্টি কেড়েছে।
বরিশাল প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক পুলক চ্যাটার্জী বলেন, ভাস্কার্যটি নির্মান করেন খুলনার বিশিষ্ট শিল্পী প্রশান্ত দাস। টানা চারমাসব্যাপী নির্মান কাজ চালিয়ে ভাস্কর্যটি তৈরী করা হয়। এ ধরনের ভাস্কর্যকে রিয়েল স্টিক ভাস্কর্য বলা হয়। কাসটিং ঢালাইয়ের তৈরী এ ভাস্কর্যটির উচ্চতা ৯ ফুট ১১ ইঞ্চি। এ আকৃতির ভাস্কর্য দক্ষিণাঞ্চলে আর নেই। সিমেন্ট ও পাথরের তৈরী বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে কোন রং ব্যবহার করা হয়নি। বর্তমানে যে রং আছে তা ভাস্কর্যের নিজস্ব রং। এ ধরনের ভাস্কর্য তৈরীতে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয় হয়।